কোষ্ঠকাঠিন্য শিশুদের একটি সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় অজ্ঞতার কারণে অথবা সচেতনতার অভাবে শিশুর এ সমস্যা অভিভাবকেরা এড়িয়ে যান। এ সমস্যা এড়িয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে শিশুর নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।

সাধারণত সপ্তাহে ৩ বারের বেশি পায়খানা না হলে অথবা পায়খানা করার সময় ব্যথা অনুভব করলে আমরা বুঝতে পারি শিশুটি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে। শিশুরা মলত্যাগের সময় অনেক ক্ষেত্রে ব্যথায় কান্নাকাটিও করে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতি।

মলত্যাগের ব্যাপারে শিশুর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা এবং মলত্যাগ করছে না বলে বকাবকি করা উচিত নয়। প্রয়োজনে সময়মতো মলত্যাগের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। বুকের দুধ খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না।

তাই যেসব শিশু বুকের দুধ খায় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তাদের বেশি করে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সের শিশুকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে বুকের দুধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানিও খাওয়ানো উচিত।

টিনের দুধ খাওয়ালে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশনা ছাড়া বাজারের টিনের দুধ শিশুকে কখনই দেয়া উচিত নয়। একটু বড় শিশুদের সাগু, আঁশযুক্ত খাবার যেমন- শাকসবজি, পাকা কলা, বেল, পেঁপে, আম খাওয়ালে উপকার হয়।

মলত্যাগের সময় শিশুর ব্যথা হলে জোর না করে পায়খানার রাস্তায় অলিভঅয়েল দিতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়াও শিশুদের দুধের সঙ্গে ৩-৫ ফোঁটা অলিভঅয়েল খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে উপশম হয়।

 

কলমকথা / সাথী